مدرسهتيبية إسلامية سونيا فازل

মাদরাসা-এ-তৈয়বিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী)

MADRASAH-E-TAYABIA ISLAMIA SUNNIA FAZIL




সভাপতি

মনজুর আলম

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। যে জাতি যতো শিক্ষিত সে জাতি ততো উন্নত। শিক্ষা একটি ব্যাপক অর্থ বোধক শব্দ। শুধু জাগতিক কিছু বিষয় জানার মধ্যে শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ করা হলে তা হবে শিক্ষার চরম অবমূল্যায়ন। তাই জাগতিক ও আত্মিক উৎকর্ষের নামই শিক্ষা। যে শিক্ষা বৈষয়িক উন্নতির সাথে সাথে আমাদের আত্মিক উন্নতির পথ দেখায় না সে শিক্ষা শিক্ষাই নয়। আজকের উন্নত বিশ্বই যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কারণ আজকের উন্নত দেশগুলো জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষ সাধন করেও তাদের মধ্যে সর্বদা অশান্তি বিরাজ করেছে। নৈতিকতার চরম অবক্ষয় তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে। ফলে, তাদের পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন নড়বড়ে হয়ে গেছে। তারা শান্তির খুঁজে আজ ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। তাই দিন দিন ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শের গুরুত্ব বেড়ে চলছে। ইসলাম বরাবরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে আসছে। ইংরেজ শিক্ষানীতিতে দীর্ঘকাল মাদরাসা শিক্ষা অবহেলিত ছিল। ফলে মাদরাসা শিক্ষায় দীর্ঘকাল আধুনিক বিষয়গুলো ছিলো উপেক্ষিত। কিন্তু বর্তমানে দ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষার এক অপূর্ব সমাবেশ ঘটেছে এ মাদরাসা শিক্ষায়। এখন একজন মাদরাসা শিক্ষার্থী কুরআন, হাদীস, ইসলামী আইন(ফিকাহ) ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি সাধারণ ও তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষার সকল বিষয়েও সমান দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। ফলে এদেশের সর্বস্তরের লোকের ছেলে-মেয়েরা বর্তমানে মাদরাসা শিক্ষার প্রতি সাগ্রহে ছুটছে। মাদরাসা শিক্ষার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও আদর্শকে দেশবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রচার আজ সময়ের দাবী। এ ধারাবাহিকতায় দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই। ইনশাআল্লাহ ভবিষতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। মাদরাসার সম্মানিত অধ্যক্ষ, অধ্যাপক, প্রভাষক, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের শোকরিয়া আদায় করছি। আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন। আমীন।

অধ্যক্ষ

মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী

শিক্ষাই জাতির মেরূদন্ড, শিক্ষার্থীরাই দেশ ও জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তাদের সফলতা ব্যর্থতার উপর আগামী দিনের কল্যাণ অকল্যাণ নির্ভরশীল। শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর, দক্ষ যোগ্য ও আদর্শবান শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীর প্রতিভা বিকাশ, নৈতিক মানসম্পন্ন ও আদর্শবান মেধাবী ছাত্র সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম। লেখা পড়ায় মনোযোগী, নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী, অনুসন্ধিৎসু, শিক্ষার্থীরাই জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার। অলস, উদাসীন, অধিক আরাম প্রিয়, উশৃঙ্খল ও চরিত্রহীন লোকেরা দেশ ও জাতির জন্য অভিশাপ। সৎ ও আদর্শ চরিত্রবান লোকের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে জাতীয় কল্যাণ ও অগ্রগতি ততই তরান্বিত হবে। শান্তি, উন্নতি ও প্রগতির ধারা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বৃন্দের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা অপরিহার্য। পারস্পরিক সহমর্মিতা, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অকৃত্রিম সহযোগিতা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য ও অগ্রগতির পূর্বশর্ত। বর্তমান পুজিবাদী ও নাস্তিক্যবাদী বিশ্ব সমাজ ব্যবস্থার যাঁতাকালে নিষ্পেষিত মানবতার পূর্ণরুদ্ধারে ইসলামী শিক্ষা ও আদর্শ চর্চার বিকল্প নেই, আধুনিক শিক্ষা ও ধর্মীয় শিখার এক অপূর্ব সমন্বয় মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। জাগতিক ও আধ্যাত্মিক মুক্তি বিধানে মাদরাসা শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা একদিকে ধর্মীয় মুল্যেবোধের সুরক্ষায় সচেষ্ট। অপরদিকে শিক্ষা, উন্নয়ন, প্রশাসনসহ রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে বহুমুখী অবদান রেখে চলছে। ইসলামী আদর্শের প্রচার প্রসার, সুন্নীয়তের পয়গাম বিস্তারে এদের ভূমিকা জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার চল্লিশ বৎসর অতিক্রান্ত হয়েছে। এ প্রয়াসের সাফল্য রচনায় সম্মানিত আনজুমান কেবিনেট কর্মকর্তাবৃন্দ, পরিচালনা পরিষদ কর্মকরতাবৃন্দ, সমানিত শিক্ষকমন্ডলী, সকল শিক্ষার্থী, সম্মানিত অভিভাবক-অভিভাবিকা ও শুভানুধ্যায়ী মহলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও ঐকান্তিক সহযোগিতাকে কৃতজ্ঞাচিত্তে স্মরণ করছি। এ অধ্যায়ের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করি। আল্লাহ ও তদীয় রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মহান মশায়েখ হযরাতে কেরামের ওসীলায় এ




সর্বশেষ ছবির গ্যালারী